Question: গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর কীভাবে তাঁর অঙ্কিত ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে ঔপনিবেশিক সমাজচিত্র তুলে ধরেন ?
Answer:
দেবেন্দ্রনাথের ব্যঙ্গচিত্রে ঔপনিবেশিক সমাজচিত্র - অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জ্যেষ্ঠভ্রাতা গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর সমকালীন সমাজ ও সময়ের চিত্রকে ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে তুলি দিয়ে তুলে ধরেছিলেন।
রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘প্রবাসী’ ও ‘মডার্ন রিভিউ’ পত্রিকায় সত্যনেন্দ্রনাথের আঁকা ব্যঙ্গচিত্রগুলি নিয়মিত প্রকাশিত হতো। এই ব্যঙ্গচিত্রগুলোতে ফুটে উঠেছিল তৎকালীন সমাজের অসংগতি ও বৈষম্য।
১. বিদেশি শাসনের সমালোচনা: তাঁর ব্যঙ্গচিত্রে ঔপনিবেশিক শাসকদের কটাক্ষ করা হয়েছে। "পুচ্ছ পরিবর্তন", "পুরাতন ও নতুন, সংকর জাতের বাঙালি", "বিধবার একাদশী", "ব্রাহ্মণের একাদশী" ইত্যাদি ব্যঙ্গচিত্রে সমাজের নানা অসংগতি ব্যঙ্গাত্মকভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
২. মানবচরিত্রের উপস্থাপনা: উপনিবেশিক শাসকদের তোষণ করা মানুষ কিংবা শহুরে জীবনের কৃত্রিম সাহেবিয়ানাকে গগনেন্দ্রনাথ তাঁর ব্যঙ্গচিত্রে বিদ্ধ করেছেন। তিনি তোষামোদে বিশ্বাস করতেন না, বরং সমাজের দ্বিচারিতা ও নৈতিক পতনকে তীব্রভাবে আঘাত করেছেন। তাই তাঁর ব্যঙ্গচিত্র ঔপনিবেশিক সমাজের তীব্র সমালোচনার প্রতিফলন হয়ে উঠেছিল।
৩. দেশীয় নেতাদের চিত্রায়ন: বিদেশি শাসকদের পাশাপাশি দেশীয় নেতারাও তাঁর ব্যঙ্গচিত্রে সমালোচনার শিকার হয়েছেন। এমনকি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও তাঁর ব্যঙ্গচিত্রের বিষয়বস্তু হয়েছিলেন।
বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসুর আবিষ্কার, প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের গবেষণা, রবীন্দ্রনাথের প্রথম বিমান ভ্রমণ, রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথের মন্ত্রিত্ব গ্রহণ ইত্যাদি নিয়ে গগনেন্দ্রনাথের কার্টুন চিত্রগুলো ইতিহাসের অমূল্য দলিল হিসেবে বিবেচিত হয়।
Additional Information :
Maddhamik
You Can Translate It In Your Language: