Questions : দীর্ঘ পর্যায় সারণির শ্রেণি 2 এর মৌলগুলিকে ক্ষারমৃত্তিকা ধাতু বলা হয় কেন ?
Answer: দীর্ঘ পর্যায়সারণির শ্রেণি 2-এর মৌল গুলিকে [বেরিলিয়াম (Be), ম্যাগনেসিয়াম (Mg) ক্যালসিয়াম (Ca), স্ট্রন্সিয়াম (Sr), বেরিয়াম (Ba) ও রেডিয়াম (Ra)] ক্ষারীয় মৃত্তিকা ধাতু বলা হয়। ভূত্বকে প্রাপ্ত এই ধাতুগুলির অক্সাইড, হাইড্রক্সাইড ও কার্বনেট যৌগগুলি ক্ষারধর্মী হওয়ায় এরূপ নামকরণ করা হয়েছে।
Additional Information
দীর্ঘ পর্যায় সারণির শ্রেণি 2 বা দ্বিতীয় শ্রেণির মৌলগুলিকে ক্ষারমৃত্তিকা ধাতু (Alkaline Earth Metals) বলা হয় কারণ:
-
ক্ষারধর্মী অক্সাইড ও হাইড্রোক্সাইড:
- এদের অক্সাইড ও হাইড্রোক্সাইড জলীয় দ্রবণে ক্ষারধর্মী (Alkaline) বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে।
- যেমন: CaO + H₂O → Ca(OH)₂ (ক্যালসিয়াম অক্সাইড জলে দ্রবীভূত হয়ে ক্ষার সৃষ্টি করে)
-
পৃথিবীর মাটিতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়:
- এরা প্রকৃতিতে বিভিন্ন খনিজের (যেমন ডলোমাইট, ক্যালসাইট, জিপসাম) আকারে মৃত্তিকায় (Earth) ব্যাপকভাবে পাওয়া যায়, তাই "Earth Metals" নামকরণ করা হয়েছে।
-
প্রতিক্রিয়াশীলতা:
- এরা পর্যায় সারণির প্রথম শ্রেণির ক্ষার ধাতুর (Alkali Metals) তুলনায় কম প্রতিক্রিয়াশীল।
- জল বা অ্যাসিডের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করে ক্ষারীয় দ্রবণ উৎপন্ন করে।
-
দ্বৈতমান ইলেকট্রন বিন্যাস:
- এদের সর্ববহিঃস্থ কক্ষে 2টি ইলেকট্রন থাকে (ns²), যা সহজেই দান করে +2 চার্জযুক্ত আয়ন (M²⁺) তৈরি করতে পারে।
- ফলে এরা মৌলিক অবস্থায় নয়, বরং যৌগ হিসেবে বেশি পাওয়া যায়।
-
উদাহরণ:
- ক্ষারমৃত্তিকা ধাতুগুলি হলো: বেরিলিয়াম (Be), ম্যাগনেশিয়াম (Mg), ক্যালসিয়াম (Ca), স্ট্রনসিয়াম (Sr), ব্যারিয়াম (Ba), ও রেডিয়াম (Ra)।
সারসংক্ষেপে, এরা ক্ষার উৎপন্ন করে এবং মৃত্তিকায় প্রচুর পাওয়া যায়, তাই এদের ক্ষারমৃত্তিকা ধাতু বলা হয়।
Maddhamik Previous Year
You Can Translate It In Your Language :-Bookmark Our website : Click HERE
Mock Test Click Here
Maddhamik Previous Year Solution Click Here
If you like this content, please CLICK any of the Ads In This Page.