Questions : “ওইটেই তো আমি রে, যন্ত্রণাটাই তো আমি।” বক্তা কে? উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
Answer: জনপ্রিয় লেখক মতি নন্দীর ‘কোনি’ উপন্যাসে “ওইটেই তো আমি রে, যন্ত্রণাটাই তো আমি” কোনির প্রশিক্ষক ক্ষিতীশ সিংহ একথা বলেছেন।
মাদ্রাজে আয়োজিত ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে শেষ মুহূর্তে জলে নামার সুযোগ পেয়েছিল কোনি। সাঁতারু হিসেবে অংশগ্রহণ করেও তাকে নানা অজুহাতে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। মেয়েদের রিলে রেসের আগে অমিয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বিনা প্রস্তুতিতে জলে নামতে হয়েছিল। এতোদিন দর্শকাসনে বসে থাকার পর যখন সে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ পেল তখন নিজের সর্ব শক্তি দিয়ে রমা জোশীকে হারিয়ে বাংলার জয় নিশ্চিত করেছিল কোনি। জল থেকে উঠে ক্ষিদ্দাকে নিজের শারীরিক কষ্টের কথা জানালে ক্ষিদ্দা বলেছিলেন, “ওইটেই তাে আমি রে, যন্ত্রণাটাই তাে আমি”।
প্রশিক্ষক হিসেবে ক্ষিতীশ সিংহের মূল মন্ত্র ছিল অনুশীলন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে শরীরকে ঘষে ঘষে শানিয়ে তুললে অসম্ভবকে সম্ভব করা যায় । প্রকৃতপক্ষে পৃথিবীতে যত মহাপুরুষের আবির্ভাব হয়েছে তারা প্রত্যেকেই সাধ্যের বাইরে পরিশ্রম করে যন্ত্রণার আর কষ্টের সঙ্গে নিজেদেরকে মানিয়ে নিয়েছিলেন তার ফলেই তারা বিশ্ব ইতিহাসের পাতায় এক একটা উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক। অর্থাৎ যন্ত্রণাকে যে যত সইতে পারবে ও কঠোর পরিশ্রম করবে , ততই সে কম সময়ে লক্ষ্যে পৌঁছবে, হার মানাবে সময়কে এবং যন্ত্রণাকে। সেই হয়ে উঠবে চ্যাম্পিয়ন, যে সবার আগে সবচেয়ে কম সময়ে পৌঁছবে তার গন্তব্যে। তাই কোনিকেও চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম এবং তার সঙ্গে সময়কে হার মানানো। তাই ক্ষিতীশ কোনির প্রশিক্ষণে এতোটুকু খামতি রাখেননি। কখনো ভয় দেখিয়ে কখনো বা খাবার লোভ দেখিয়ে তিনি কোনিকে দিয়ে পরিশ্রম করিয়েছিলেন। তারই ফল কোনি পেয়েছিল মাদ্রাজে ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে। এইজন্য ক্ষিতীশ বলেছিলেন, “যন্ত্রণাটাই তাে আমি”।
All Govt Exam Mock Test: Click HERE
Maddhamik Question Paper Solution : Click HERE
Bookmark our Website or Subscribe our website for more information web.bjubangla.in
