Question: কুশাণ সম্রাট কণিষ্কের কৃতিত্ব আলোচনা করো
Answer:
প্রশ্ন মান - ৩/৪
সূচনা : কুশাণ বংশের শ্রেষ্ঠ শাসক ছিলেন কণিষ্ক। তাঁর রাজত্বকালে কুশাণ সাম্রাজ্য ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করে।
কণিষ্কের কৃতিত্ব :
১. রাজত্বকাল : কণিষ্ক ৭৮ খ্রিস্টাব্দে শাসনভার গ্রহণ করেন এবং প্রায় ২৩ বছর রাজত্ব করেন।
২. সাম্রাজ্য বিস্তার : তাঁর রাজধানী ছিল পুরুষপুর বা পেশোয়ার। কণিষ্কের আমলে কুশাণ শাসন গঙ্গা উপত্যকার বিস্তৃত অঞ্চল ছাড়িয়ে পড়ে। বর্তমান পাকিস্তানের প্রায় সমগ্র অঞ্চল তাঁর সাম্রাজ্যের অন্তর্গত ছিল।
৩. শাসনপদ্ধতি : কণিষ্ক নিজেকে ‘দেবপুত্র’ বলে ঘোষণা করেছিলেন। তিনি ‘মহারাজাধিরাজ দেবপুত্র কণিষ্ক’ উপাধি গ্রহণ করেন। সাম্রাজ্যের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য তিনি একে বিভিন্ন প্রদেশে ভাগ করেন।
উপসংহার : কণিষ্ক ছিলেন কুশাণ সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ শাসক। তাঁর রাজত্বকালে কুশাণ সাম্রাজ্য রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে সমৃদ্ধি লাভ করে।
প্রশ্ন মান ৮/১০ 👉 :
কুশাণ সম্রাট কণিষ্কের কৃতিত্ব
ভূমিকা :
ভারতের ইতিহাসে কুশাণ বংশ একটি গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। এই বংশের মধ্যে সম্রাট কণিষ্ক ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ শাসক। তাঁর আমলেই কুশাণ সাম্রাজ্য সর্বাধিক বিস্তারলাভ করে এবং ভারতবর্ষ রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সমৃদ্ধ হয়।
রাজত্বকাল :
কণিষ্ক ৭৮ খ্রিস্টাব্দে সিংহাসনে আরোহণ করেন। তিনি প্রায় ২৩ বছর রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর শাসনকালকে কুশাণ যুগের স্বর্ণযুগ বলা হয়।
সাম্রাজ্য বিস্তার :
কণিষ্কের রাজধানী ছিল পুরুষপুর (বর্তমান পেশোয়ার)। তাঁর শাসনামলে কুশাণ সাম্রাজ্যের সীমানা গঙ্গা উপত্যকা থেকে মধ্য এশিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। আফগানিস্তান, কাশ্মীর, উত্তর-পশ্চিম ভারত এবং প্রায় সমগ্র পাকিস্তান কণিষ্কের অধীনস্থ ছিল।
শাসনপদ্ধতি :
তিনি নিজেকে ‘দেবপুত্র’ বলে ঘোষণা করেছিলেন এবং ‘মহারাজাধিরাজ দেবপুত্র কণিষ্ক’ উপাধি গ্রহণ করেন। সুব্যবস্থাপনার জন্য তিনি সাম্রাজ্যকে বিভিন্ন প্রদেশে ভাগ করেন এবং প্রদেশগুলিতে প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগ করেন। এর ফলে শাসনকার্যে শৃঙ্খলা ও স্থিতি বজায় ছিল।
ধর্মীয় কৃতিত্ব :
কণিষ্ক ছিলেন বৌদ্ধ ধর্মের এক মহান পৃষ্ঠপোষক। তাঁর শাসনকালে কাশ্মীরের কুন্দলবনে চতুর্থ বৌদ্ধ সংঘ অনুষ্ঠিত হয়, যা বৌদ্ধ ধর্মের প্রসারে বিশেষ ভূমিকা নেয়। তিনি বৌদ্ধধর্মকে মধ্য এশিয়া ও চীনে প্রসারিত করেন।
সাংস্কৃতিক কৃতিত্ব :
কণিষ্ক শিল্প ও সাহিত্যের এক মহৎ রসিক ছিলেন। তাঁর আমলে গন্ধারা শিল্পধারার ব্যাপক বিকাশ ঘটে। এই শিল্পে ভারতীয় ভাবধারার সঙ্গে গ্রিক প্রভাবের মেলবন্ধন ঘটেছিল। এছাড়া সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যও সমৃদ্ধি লাভ করে।
উপসংহার :
সবদিক বিবেচনায় বলা যায়, কণিষ্ক ছিলেন কুশাণ বংশের শ্রেষ্ঠ সম্রাট। তাঁর রাজনৈতিক দক্ষতা, ধর্মীয় সহনশীলতা ও সাংস্কৃতিক পৃষ্ঠপোষণার ফলে কুশাণ সাম্রাজ্য খ্যাতি ও ঐশ্বর্যের চূড়ায় পৌঁছেছিল। ইতিহাসে তাঁর স্থান তাই চিরস্মরণীয়।
You Can Translate It In Your Language: