ক্লাস ৬ বাংলা 'হ য ব র ল' - সম্পূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর | সুকুমার রায়

ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা, ক্লাস ৬ বাংলা, হ য ব র ল, সুকুমার রায়, পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন, প্রশ্ন উত্তর, সাজেশন,edutial, হ য ব র ল প্রশ্ন উত্তর, Hajabarala
Pijus Kumar Sir

ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা 'হ য ব র ল' - প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন প্রস্তুতি | সুকুমার রায়

সুকুমার রায়ের অমর সৃষ্টি 'হ য ব র ল' ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা পাঠ্যক্রমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের জন্য এই গল্প থেকে আসা কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর নিচে আলোচনা করা হলো। এইগুলি তোমাদের প্রস্তুতিতে সাহায্য করবে।

প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন (পৃষ্ঠা ১-১৪) - 'হ য ব র ল' প্রশ্ন উত্তর

এখানে 'হ য ব র ল' গল্পের প্রথম অংশের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া হল:

  1. প্রশ্ন:  'হ য ব র ল' গল্পে কোন ঋতুর কথা বলা হয়েছে ?
    উত্তর: এই মজার গল্পটিতে গ্রীষ্ম ঋতুর উল্লেখ পাওয়া যায়।
  2. প্রশ্ন: কাক এবং বুড়ো - এই দুজন মিলে লেখকের বয়স এবং ওজন কত আন্দাজ করেছিল ?
    উত্তর: তারা লেখকের বয়স ৩৭ বছর এবং ওজন আড়াই সের অনুমান করেছিল।
  3. প্রশ্ন: লেখকের রুমালটি শেষ পর্যন্ত কীসে বদলে গিয়েছিল ?
    উত্তর: লেখকের সাধের রুমালটি একটি বিড়ালে রূপান্তরিত হয়েছিল।
  4. প্রশ্ন: গেছো দাদার সাথে দেখা করা প্রায় অসম্ভব কেন ?
    উত্তর: কারণ সেই অদ্ভুত গেছো দাদা এক জায়গায় স্থির থাকেন না, তিনি ঘন ঘন তার ঠিকানা বদলান।
  5. প্রশ্ন: গল্প শেষে বিড়ালটি কোথায় চলে যায় ?
    উত্তর: শেষমেশ বিড়ালটি ফ্যাচ ফ্যাচ করে হাসতে হাসতে, তার লেজটি খাড়া করে বাগানের বেড়া টপকে পালিয়ে যায়।
  6. প্রশ্ন: লেখকের বুকের মাপ, গলার মাপ সবকিছু ২৬ ইঞ্চি দেখাচ্ছিল কেন ?
    উত্তর: আসলে, বুড়ো লোকটি যে ফিতে দিয়ে মাপ নিচ্ছিল, সেই ফিতেতে অন্য কোনও সংখ্যা ছিল না, কেবল ২৬ সংখ্যাটাই স্পষ্ট ছিল।
  7. প্রশ্ন: 'হ য ব র ল' বইটির লেখক কে ?
    উত্তর: 'হ য ব র ল' বইটির লেখক সুকুমার রায়।
  8. প্রশ্ন: "'সাত দু-গুণে কত হয়?"' - এই বিখ্যাত উক্তিটি কে করেছিল ?
    উত্তর: এই প্রশ্নটি করেছিল সেই চালাক দাঁড় কাকটি।
  9. প্রশ্ন: কাক কিসের সাহায্যে এবং কিসের উপরে হিসাব লিখছিল ?
    উত্তর: কাক একটি খড়ি ব্যবহার করে বুড়োর চকচকে টাকের উপর হিসাব লিখছিল!
  10. প্রশ্ন: গেছো দাদা আমাদের কী ধরনের সাহায্য করতে পারেন ?
    উত্তর: গেছো দাদা মূলত পথ বাতলে দেওয়ার কাজে সাহায্য করেন, যদি কেউ কোথাও যেতে চায়।
  11. প্রশ্ন: গাছ থেকে যে বুড়ো লোকটি নেমে এসেছিল, তার চেহারা কেমন ছিল ?
    উত্তর: সেই বুড়ো লোকটি লম্বায় ছিল প্রায় দেড় হাত, তার পায়ে পর্যন্ত সবুজ রঙের দাড়ি ছিল, আর মাথায় ছিল বিশাল এক টাক।
  12. প্রশ্ন: লেখক সুকুমার রায় কোথায় ঘুমিয়ে ছিলেন ?
    উত্তর: লেখক সুকুমার রায় একটি গাছের নিচে শান্তভাবে ঘুমিয়ে ছিলেন।
  13. প্রশ্ন: গল্পকথকের গরম লাগলে বিড়াল তাকে কোথায় যেতে বলেছিল ?
    উত্তর: যখন লেখকের গরম লাগছিল, তখন বিড়াল তাকে ঠান্ডা তিব্বতে ঘুরে আসার পরামর্শ দিয়েছিল।
  14. প্রশ্ন: রুমালটি ঠিক কোথায় বিড়ালে পরিণত হয়েছিল ?
    উত্তর: সুকুমার রায়ের 'হ য ব র ল' গল্পে, রুমালটি একটি গাছতলায় নরম ঘাসের উপরে বিড়াল হয়ে গিয়েছিল।
  15. প্রশ্ন: "'আমার কেমন রাগ ধরে গেল।'" - কোন কথা শুনে লেখকের মেজাজ বিগড়ে গিয়েছিল ?
    উত্তর: বিড়াল যখন একইরকম অদ্ভুত কথা বলতে শুরু করলো, যেমন "'এই মনে করো চন্দ্রবিন্দু'", "'এই মনে করো তিব্বত'", তখন লেখকের রাগ ধরে গিয়েছিল।
  16. প্রশ্ন: বিড়ালের ধারণা অনুযায়ী তিব্বতে যাওয়ার সহজ রাস্তাটি কী? (পর্ষদ নমুনা প্রশ্ন)
    উত্তর: বিড়ালের মতে তিব্বত যাওয়ার সবচেয়ে সোজা রাস্তা হলো - কলকাতা, ডায়মন্ড হারবার, রানাঘাট। এই পথে যেতে নাকি সওয়া এক ঘণ্টার মতো সময় লাগে।
  17. প্রশ্ন: 'চশমা' শব্দটি কিভাবে তৈরি হয়েছিল ?
    উত্তর: বিড়ালের কথানুসারে, চন্দ্রবিন্দুর 'চ', বেড়ালের 'শ' (তালব্য শ) এবং রুমালের 'মা' এই তিনটি বর্ণ মিলে 'চশমা' শব্দটি তৈরি হয়েছিল।
  18. প্রশ্ন: গেছো দাদা কোথায় বসবাস করেন ?
    উত্তর: গেছো দাদার পছন্দের আবাসস্থল হলো গাছ।
  19. প্রশ্ন: গাছের ফাঁক থেকে আচমকা কে বেরিয়ে এসেছিল ?
    উত্তর: অপ্রত্যাশিতভাবে গাছের ফোকর থেকে এক বুড়ো ব্যক্তি আবির্ভূত হয়েছিলেন।
  20. প্রশ্ন: "'তাহলে তোমায় এখন কি বলে ডাকবো ?'" - এই প্রশ্নের উত্তরে বিড়াল কী বলেছিল ?
    উত্তর: বিড়ালটি উত্তর দিয়েছিল, "'বেড়ালও বলতে পারো, রুমালও বলতে পারো, চন্দ্রবিন্দুও বলতে পারো।'"
  21. প্রশ্ন: সেই বিড়ালটির চেহারা কেমন ছিল ?
    উত্তর: বিড়ালটি ছিল বেশ মোটাসোটা এবং উজ্জ্বল লাল রঙের।
  22. প্রশ্ন: কত দিন পেরিয়ে গেলেও কাক তার হিসাব শেষ করতে পারেনি ?
    উত্তর: উনিশ দিন কেটে গেলেও কাকের সেই জটিল হিসাব আর মেলেনি।
  23. প্রশ্ন: "'বসতেই কে যেন ভাঙা ভাঙা মোটা গলায় বলে উঠলো।'" - কে কী বলেছিল ?
    উত্তর: একটি দাঁড় কাক বসে থাকা লেখককে জিজ্ঞাসা করেছিল, "'সাত দু-গুণে কত হয়?'"।
  24. প্রশ্ন: "'এতো হামেশাই হচ্ছে।'"—এখানে হামেশাই কী হওয়ার কথা বলা হয়েছে ?
    উত্তর: এখানে একটি ডিম থেকে খুব সহজেই একটি প্যাঁকপেঁকে হাঁস ছানা বেরিয়ে আসার ঘটনার কথা বলা হয়েছে।
  25. প্রশ্ন: "'আমি ভারী অপ্রস্তুত হয়ে গেলাম।'"— কে, কেন অপ্রস্তুত হয়ে গিয়েছিল ?
    উত্তর: গল্পের কথক অপ্রস্তুত হয়ে গিয়েছিলেন, কারণ বিড়ালের চন্দ্রবিন্দুর রহস্য বুঝতে না পারার জন্য বিড়ালটি তার দিকে এক চোখ বুজে বিশ্রী ফ্যাচফেচে হাসি হাসছিল।
  26. প্রশ্ন: তিব্বত যাওয়ার সঠিক ঠিকানা কে বলতে পারত ?
    উত্তর: তিব্বত যাওয়ার একদম নির্ভুল ঠিকানা গেছো দাদাই বলতে পারতেন।
  27. প্রশ্ন: রুমালটা ঠিক কোথায় বিড়াল হয়ে গিয়েছিল ?
    উত্তর: রুমালটি ঘাসের উপরে বিড়াল হয়ে গিয়েছিল।
  28. প্রশ্ন: "'কিছুতেই দেখা হওয়ার জোনেই।'"— কার সঙ্গে এবং কেন দেখা হওয়ার সম্ভাবনা নেই ?
    উত্তর: গেছোদাদার সঙ্গে দেখা হওয়ার কোনো সুযোগ নেই, কারণ তিনি কখনোই এক জায়গায় স্থায়ীভাবে থাকেন না।
  29. প্রশ্ন: "'সে অনেক হাঙ্গামা।'"— এখানে কোন ঝামেলার কথা বলা হয়েছে ?
    উত্তর: এখানে গেছোদাদার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার যে অনেক রকম অসুবিধা বা হাঙ্গামা হতে পারে, সেই কথাই বলা হয়েছে।
  30. প্রশ্ন: গল্পটির নাম 'হ য ব র ল' রাখা হয়েছে কেন ?
    উত্তর: 'হ য ব র ল' এই বর্ণগুলো যেমন এলোমেলোভাবে সাজানো, এদের মধ্যে কোনো ধারাবাহিকতা নেই, তেমনই এই গল্পটিতেও ঘটনার কোনো পরম্পরা খুঁজে পাওয়া যায় না। সবকিছু কেমন যেন তালগোল পাকানো। সেই কারণেই গল্পটির নাম 'হ য ব র ল' রাখা হয়েছে।
  31. প্রশ্ন: গেছোদাদা কে? তিনি কোথায় থাকেন ?
    উত্তর: গেছোদাদা হলো সেই বিড়ালের একরকম দাদা, যে আগে রুমাল ছিল। আর তিনি সাধারণত গাছেই থাকেন।
  32. প্রশ্ন: লেখকের রুমালটির প্রয়োজন হয়েছিল কেন ?
    উত্তর: লেখক তার মুখের ঘাম মোছার জন্য রুমালটি ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন।
  33. প্রশ্ন: রুমালটি শেষ পর্যন্ত কী পরিণতি লাভ করেছিল ?
    উত্তর: রুমালটি একটি জীবন্ত বিড়ালে রূপান্তরিত হয়েছিল।
  34. প্রশ্ন: রুমালটি প্রথমে কোথায় পড়েছিল ?
    উত্তর: রুমালটি ঘাসের উপরে পড়েছিল।
  35. প্রশ্ন: রুমালটি 'ম্যাও' করে ডেকে উঠেছিল কেন ?
    উত্তর: কারণ রুমালটি অলৌকিকভাবে একটি বিড়ালে পরিণত হয়েছিল।
  36. প্রশ্ন: বিড়ালের ভাষায় 'চশমা' শব্দটি কিভাবে লেখা হয়েছিল ?
    উত্তর: বিড়ালটির ভাষ্য অনুযায়ী, 'চশমা' গঠিত হয়েছিল চন্দ্রবিন্দুর 'চ', বিড়ালের 'শ' (তালব্য শ) এবং রুমালের 'মা' এই তিনটি বর্ণ দিয়ে।
  37. প্রশ্ন: দাঁড় কাকের হাতে কী দেখা গিয়েছিল ?
    উত্তর: দাঁড় কাকের হাতে একটি শ্লেট ও পেন্সিল ছিল
  38. প্রশ্ন: দাঁড় কাক যখন হিসাব করছিল, তখন 'সাত দুগুনে চোদ্দোর নামে চার' বলার পরে হাতে কী রইল ?
    উত্তর: হাতে রইল পেন্সিল (এখানে 'পেন্সিল' বলতে হাতে রাখার কথা বলা হয়েছে, যদিও অঙ্কের বিচারে হাতে 'এক' থাকার কথা)।
  39. প্রশ্ন: বিড়াল কত সময়ের মধ্যে তিব্বতে পৌঁছে যাওয়ার কথা বলেছিল ?
    উত্তর: বিড়ালটি বলেছিল যে ওই পথে সওয়া ঘণ্টার মধ্যেই তিব্বতে পৌঁছে যাওয়া যাবে।
  40. প্রশ্ন: গেছো দাদা কোথায় থাকেন বলে শোনা যায় ?
    উত্তর: গেছো দাদার ঠিকানা হলো গাছ।
  41. প্রশ্ন: "'উঁহু, সে আমার কর্ম নয়।'"- এই কথাটি কে বলেছিল? এখানে কোন কাজের কথা বলা হয়েছে ?
    উত্তর: এই উক্তিটি করেছিল বিড়াল। এখানে তিব্বতে যাওয়ার রাস্তা কোন দিকে, সেই বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়ার কাজটির কথা বলা হয়েছে।
  42. প্রশ্ন: গেছো দাদার সাথে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই কেন ?
    উত্তর: কারণ গেছো দাদা যখন উলুবেড়িয়ায় থাকেন, তখন শোনা যায় তিনি মতিহারিতে। আবার যখন মতিহারিতে খোঁজ করা হয়, তখন খবর আসে তিনি রামকৃষ্ণপুরে। সেখানে গেলে জানা যায় তিনি কাশিমবাজারে গেছেন। এই কারণেই তার সাথে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
  43. প্রশ্ন: বিড়ালটি কিভাবে পালিয়ে গিয়েছিল, তার একটি বর্ণনা দাও।
    উত্তর: বিড়ালটি তার লেজ খাড়া করে বাগানের বেড়া টপকিয়ে, ফ্যাচ ফ্যাচ করে হাসতে হাসতে দৌড়ে পালিয়েছিল।
  44. প্রশ্ন: গরম লাগলে বিড়াল লেখককে কোথায় যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল ?
    উত্তর: বিড়ালটি লেখককে গরম লাগলে তিব্বতে যাওয়ার বুদ্ধি দিয়েছিল।।
  45. প্রশ্ন: বিড়ালের মুখ থেকে তিব্বত যাওয়ার সোজা রাস্তাটি কেমন শোনা গিয়েছিল ?
    উত্তর: বিড়াল বলেছিল, প্রথমে কলকাতা, তারপর ডায়মন্ড হারবার, এরপর রানাঘাট, এবং তারপর সোজা তিব্বত।
  46. প্রশ্ন: "'তোমাদের দেশের সময়ের দাম নেই বুঝি'"- এই কথাটি কে কাকে বলেছিল ?
    উত্তর: এই কথাটি কাক লেখককে বলেছিল।
  47. প্রশ্ন: "'এমন সময় গাছের একটা ফোকর থেকে কি যেন একটা শুরুৎ করে পিছলে মাটিতে নামল'"- এখানে কী নামার কথা বলা হয়েছে ?
    উত্তর: এখানে দেড় হাত লম্বা এক বুড়োর কথা বলা হয়েছে, যাঁর পা পর্যন্ত সবুজ রঙের দাড়ি, হাতে একটি হুঁকো (তবে তাতে কলকে বা অন্য কিছু ছিল না), এবং মাথায় ভর্তি টাক ছিল। আর সেই টাকের উপর খড়ি দিয়ে কিছু লেখা ছিল।
  48. প্রশ্ন: লেখককে বুড়ো কিভাবে দেখছিল, তার একটি বিবরণ দাও।
    উত্তর: বুড়ো প্রথমে বনবন করে আট-দশ পাক ঘুরে দাঁড়ালো। তারপর তার হুঁকোটিকে দূরবীনের মতো চোখের সামনে ধরে অনেকক্ষণ লেখকের দিকে তাকিয়ে রইল। এরপর সে তার পকেট থেকে কয়েকখানা রঙিন কাঁচ বের করে, সেগুলো দিয়ে বারবার লেখকের দিকে দেখতে লাগল।
  49. প্রশ্ন: দর্জির ফিতে দিয়ে মাপার সময় লেখকের সব মাপ ছাব্বিশ ইঞ্চি হয়েছিল কেন ?
    উত্তর: কারণ সেই পুরনো ফিতাটির উপর থেকে অন্যান্য সংখ্যাগুলো উঠে গিয়েছিল। শুধু 'ছাব্বিশ' লেখাটাই কোনোমতে পড়া যাচ্ছিল। সেই জন্যই সব মাপ ছাব্বিশ ইঞ্চি দেখাচ্ছিল।
ক্লাস ৬ বাংলা 'হ য ব র ল' - সম্পূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর | সুকুমার রায়

দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন (পৃষ্ঠা ১৫-২৭) - 'হ য ব র ল' গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর

'হ য ব র ল' গল্পের দ্বিতীয় অংশের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর এখানে দেওয়া হল:
  1. প্রশ্ন: কাক্কেশ্বর কুচকুচের ঠিকানা কোথায় ?
    উত্তর: কাক্কেশ্বর কুচকুচের ঠিকানা হলো ৪১ নং গেছো বাজার, কাগেয়াপটি।
  2. প্রশ্ন: ঝোপের আড়াল থেকে যে বিশাল দাড়িওয়ালা ছাগলটি বেরিয়ে এসেছিল, তার নাম কী ছিল ?
    উত্তর: সেই ছাগলটির নাম ছিল শ্রী ব্যাকরণ সিং।
  3. প্রশ্ন: গাছের ফোকর থেকে নেমে আসা বুড়ো লোকটি লেখকের ওজন এবং বয়স কত বলেছিল ?
    উত্তর: বুড়ো লোকটি লেখকের ওজন আড়াই সের এবং বয়স সাঁইত্রিশ বছর বলেছিল।
  4. প্রশ্ন: লেখকের নিজের ধারণা অনুযায়ী তার বয়স কত ?
    উত্তর: লেখকের মতে তার নিজের বয়স আট বছর তিন মাস।
  5. প্রশ্ন: ছাগলটির নাম 'ব্যাকরণ' হওয়ার কারণ কী ?
    উত্তর: ছাগলটি চমৎকারভাবে 'ব্যা' ডাকতে পারত, সেই কারণেই তার নাম রাখা হয়েছিল ব্যাকরণ।
  6. প্রশ্ন: সেই রাক্ষসটি ঘুমের ঘোরে কী বলতে বলতে খাট থেকে পড়ে গিয়েছিল ?
    উত্তর: রাক্ষসটি ঘুমের ঘোরে "হাঁউ-মাঁউ-কাঁউ, মানুষের গন্ধ পাওয়া পাঁচ" বলতে বলতে ধড়াম করে খাট থেকে পড়ে গিয়েছিল।
  7. প্রশ্ন: কাক যখন তার হিসাব লেখার শ্লেটটি বুড়োর টাক মাথায় ফেলেছিল, তখন বুড়ো কিভাবে কাঁদতে শুরু করেছিল ?
    উত্তর: বুড়ো "ও মা— ও পিসি— ও শিবুদা" বলে হাত-পা ছুঁড়ে ছোটো বাচ্চাদের মতো কাঁদতে শুরু করেছিল।
  8. প্রশ্ন: সেই বিজ্ঞাপনে কত রকমের কাকের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল ?
    উত্তর: সেই মজার বিজ্ঞাপনে তিন ধরনের কাকের কথা বলা হয়েছিল: দাঁড় কাক, পাতিকাক এবং রাম কাক।
  9. প্রশ্ন:  পয়সা পেয়ে কাক কী করেছিল ?
    উত্তর: পয়সা পেয়ে কাক মহা আনন্দে "'টাক ডুমাডুম টাক ডুমাডুম'" বলে শ্লেট বাজিয়ে নাচতে শুরু করেছিল।
  10. প্রশ্ন: কাকে দেখে বোঝা যাচ্ছিল না যে সে 'মানুষ না বাঁদর, প্যাঁচা না ভূত' ?
    উত্তর: হিজি বিজ বিজকে দেখেই ঠিক বোঝা যাচ্ছিল না যে সে আসলে মানুষ, বাঁদর, প্যাঁচা নাকি কোনো ভুতুড়ে প্রাণী।
  11. প্রশ্ন: কার নাম ছিল বিস্কুট ?
    উত্তর: হিজি বিজ বিজ ওরফে তকাই-এর শ্বশুরের নাম ছিল বিস্কুট।
  12. প্রশ্ন: গাছের ফাঁক থেকে যে বুড়ো লোকটি নেমে এসেছিল, তার পরিচয় দাও।
    উত্তর: সেই বুড়ো লোকটি ছিল প্রায় দেড় হাত লম্বা, তার পা পর্যন্ত সবুজ রঙের দাড়ি ছিল, হাতে একটি হুঁকো ছিল যাতে কলকে বা অন্য কিছু লাগানো ছিল না, এবং তার মাথা ছিল সম্পূর্ণ টাক।
  13. প্রশ্ন: বুড়োর নিয়ম অনুসারে তাদের (কাকদের) বয়স কত হলে তা ঘুরিয়ে দেওয়া হয় ?
  14. উত্তর: বুড়োর কথা অনুযায়ী, কাকদের বয়স যখন ৪০ বছর হয়, তখন তাদের বয়স ঘুরিয়ে দেওয়া হয়, অর্থাৎ বয়স আর বাড়ে না, বরং কমতে শুরু করে।
  15. প্রশ্ন: লেখককে বুড়ো কিভাবে দেখছিল, তার একটি বিবরণ দাও।
উত্তর: বুড়ো প্রথমে বনবন করে আট-দশ পাক ঘুরে দাঁড়ালো। তারপর তার হুঁকোটিকে দূরবীনের মতো চোখের সামনে ধরে অনেকক্ষণ লেখকের দিকে তাকিয়ে রইল। এরপর সে তার পকেট থেকে কয়েকখানা রঙিন কাঁচ বের করে, সেগুলো দিয়ে বারবার লেখকের দিকে দেখতে লাগল।
16. প্রশ্ন: দর্জির ফিতে দিয়ে মাপার সময় লেখকের সব মাপ ছাব্বিশ ইঞ্চি হয়েছিল কেন ?
উত্তর: কারণ সেই পুরনো ফিতাটির উপর থেকে অন্যান্য সংখ্যাগুলো উঠে গিয়েছিল। শুধু 'ছাব্বিশ' লেখাটাই কোনোমতে পড়া যাচ্ছিল। সেই জন্যই সব মাপ ছাব্বিশ ইঞ্চি দেখাচ্ছিল।
17. প্রশ্ন: বুড়ো লেখকের ওজন কত হিসাব করেছিল ?
উত্তর: বুড়ো লেখকের ওজন আড়াই সের হিসাব করেছিল।
18. প্রশ্ন: বুড়ো কিভাবে লেখকের ওজন হিসাব করেছিল ?
উত্তর: বুড়ো লেখকের গায়ে দুটো আঙুল দিয়ে টিপে টিপে তার ওজন আন্দাজ করার চেষ্টা করেছিল।
19.  প্রশ্ন: বুড়ো লেখকের বয়স কত নির্ধারণ করেছিল ?
উত্তর: বুড়ো লেখকের বয়স সাঁইত্রিশ বছর নির্ধারণ করেছিল।
20.  প্রশ্ন: বুড়োরা বয়সের হিসাব কিভাবে করত?
উত্তর: বুড়োদের নিয়ম ছিল, ৪০ বছর বয়স হলে তারা বয়স ঘুরিয়ে দিত। অর্থাৎ ৪১ বা ৪২ না হয়ে বয়স ৩৯, ৩৮, ৩৭ এভাবে কমতে থাকত। ১০ পর্যন্ত কমার পর আবার বাড়তে শুরু করত।
21.  প্রশ্ন: গল্পে বুড়োর বয়স কত বলা হয়েছিল ?
উত্তর: গল্পে বুড়োর বয়স ১৩ বছর বলা হয়েছিল।
22.  প্রশ্ন: আড়াই সের-এর হিসাবটা কাক কোন পদ্ধতিতে করেছে বলে লেখকের মনে হয়েছিল ?
উত্তর: লেখকের মনে হয়েছিল কাক সম্ভবত ভগ্নাংশ পদ্ধতিতে ওই হিসাবটি করেছিল।
23.  প্রশ্ন: বুড়োর বলা গল্পে মন্ত্রী কী খেয়ে ফেলেছিল ?
উত্তর: বুড়োর গল্পে মন্ত্রী রাজকন্যার গুলি এবং সুতো দুটোই খেয়ে ফেলেছিল।
24.  প্রশ্ন: কাকের বিজ্ঞাপনে উল্লেখিত ঠিকানাটি লেখো।
উত্তর: শ্রী কাকেশ্বর কুচকুচে, ৪১ নং গেছো বাজার ,কাগেয়া পটি
25.  প্রশ্ন: "'ফের যদি টেকো মাথা বলবি তো হুকো দিয়ে একবারে মেরে তোর শ্নেট ফাটিয়ে দেবো'"- এই কথাটি কে কাকে বলেছিল ?
উত্তর: এই কথাটি বুড়ো কাককে বলেছিল।
26.  প্রশ্ন: কাক যখন ঠকাস করে শ্লেটটি বুড়োর টাকের উপর ফেলে দিল, তখন বুড়ো কেমনভাবে কেঁদেছিল ?
উত্তর: বুড়ো ছোটো ছেলের মতো ঠোঁট ফুলিয়ে "'ওমা -- ও পিসি--- ও শিবুদা'" বলে হাত-পা ছুঁড়ে কাঁদতে শুরু করেছিল।
27.  প্রশ্ন: কাক অঙ্কের কোন কোন পদ্ধতিতে হিসাব করেছিল ?
উত্তর: কাক ভগ্নাংশ এবং ত্রৈরাশিক পদ্ধতিতে হিসাব করেছিল।
28.  প্রশ্ন: বুড়োর গল্প শুরু করার ঠিক আগের ঘটনাটি বর্ণনা করো।
উত্তর: বুড়ো তার হুঁকো দিয়ে টাক মাথা চুলকাতে চুলকাতে চোখ বুজে কিছুক্ষণ গভীরভাবে চিন্তা করেছিল।
29.  প্রশ্ন: বুড়োর হিসাব করে দেওয়ার জন্য কাককে কত পয়সা দিয়েছিল ?
উত্তর: বুড়ো কাককে ছ'টা পয়সা দিয়েছিল।

'হ য ব র ল' - ৩ নম্বরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর

1.  প্রশ্ন: যদি তুমি লেখকের জায়গায় থাকতে, তবে বিড়ালের অদ্ভুত প্রশ্নে তুমি কী উত্তর দিতে ?
উত্তর: যদি আমি লেখকের জায়গায় থাকতাম, তবে বিড়ালের অদ্ভুত প্রশ্নে আমিও প্রথমে কিছুটা হতভম্ব হতাম। তবে কৌতূহল দমন করতে না পেরে সম্ভবত জিজ্ঞেস করতাম, "তুমি কি সত্যিই একই সাথে তিনটি জিনিস হতে পারো? কিভাবে?" অথবা, পরিস্থিতি হালকা করার জন্য হয়তো বলতাম, "বেশ মজার তো! তুমি তাহলে একাই অনেক কিছু!"
2.  প্রশ্ন: কাক্কেশ্বর কুচকুচে কোথায় থাকে ? তার পরিচয় কী ?
উত্তর: শ্রী কাক্কেশ্বর কুচকুচে ৪১ নং গেছো বাজার, কাগেয়াপটিতে বসবাস করেন। তিনি একজন স্বনামধন্য জ্যোতিষী। তাঁর বিজ্ঞাপনে তিনি নিজেকে রায়বংশীয় কুলীন দাঁড়কাক বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি হিসাবি, বেহিসাবি, খুচরা ও পাইকারি সকল প্রকার গণনা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে করে থাকেন। এমনকি, যদি কেউ তাঁর কাছে জুতোর মাপ, গায়ের রং, কান কটকট করে কিনা, অথবা জীবিত না মৃত - এই সমস্ত তথ্য পাঠায়, তবে তিনি ফিরতি ডাকে একটি ক্যাটালগও পাঠিয়ে দেন। তাঁর বিজ্ঞাপনে তিনি অন্যান্য নকল কাক জ্যোতিষীদের থেকে সাবধান থাকারও পরামর্শ দিয়েছেন।
3.  প্রশ্ন: উধো আর বুধোর কীর্তিকলাপের কথা কয়েকটি বাক্যে লেখো।
উত্তর: উধো আর বুধো হলো দুটি অদ্ভুত ভাই, যারা গাছের ফোকরে থাকে। তাদের প্রধান কাজ হলো একে অপরের সাথে মারামারি করা। যখন কাক বুড়োকে 'টেকো মাথা' বলে রাগিয়েছিল, তখন বুড়ো বুধোকে ডেকে পাঠায়। বুধো একটি বিশাল পুঁটলি নিয়ে হুড়মুড় করে মাটিতে পড়ে এবং সেই পুঁটলির নিচে চাপা পড়ে হাত-পা ছুঁড়তে থাকে। তাকে তোলার বদলে উধো এসে তার উপর চেপে বসে। কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তি চলার পর উধো চিৎ হয়ে হাঁপাতে থাকে, আর বুধো তার টাকে হাত বোলাতে থাকে। কিছুক্ষণ পর তাদের রাগ কমে যায় এবং তারা একে অপরের সাথে গলা জড়িয়ে কাঁদে ও কোলাকুলি করে আবার গাছের ফোকরে ঢুকে পড়ে।
4.  প্রশ্ন: "'বিজ্ঞাপন পেয়েছ? হ্যান্ডবিল?'"— বিজ্ঞাপনটি কার ছিল? বিজ্ঞাপনের মূল বিষয়বস্তু কী ছিল ?
উত্তর: উদ্ধৃত অংশটি কাক্কেশ্বর কুচকুচের দেওয়া বিজ্ঞাপনের কথা বলছে। বিজ্ঞাপনটির মূল বিষয়বস্তু ছিল জ্যোতিষ বিচার সংক্রান্ত। কাক্কেশ্বর কুচকুচে দাবি করতেন যে তিনি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সকল প্রকার গণনা করতে পারেন। তাঁর বিজ্ঞাপনে হিসাবি, বেহিসাবি, খুচরা ও পাইকারি গণনার পাশাপাশি, ডাকযোগে তথ্য (যেমন জুতোর মাপ, গায়ের রং) পাঠিয়ে ফল জানার সুযোগের কথাও বলা হয়েছিল। তিনি নিজেকে রায়বংশীয় কুলীন দাঁড়কাক হিসেবে পরিচয় দিয়ে অন্যান্য নকল জ্যোতিষীদের থেকে সাবধান থাকার বার্তা দিয়েছিলেন।
5.  প্রশ্ন: "'একটা কথাও বিশ্বাস করি না'" – বক্তা কে ? সে কোন কথা বিশ্বাস করে না ?
উত্তর: এই উক্তিটির বক্তা হলেন 'হ য ব র ল' গল্পের কথক। হিজিবিজবিজ যখন একের পর এক অবিশ্বাস্য কথা বলছিল - প্রথমে তার এবং তার ভাই, বাবা, পিসের নাম হিজিবিজবিজ, পরে আবার তার নাম তকাই এবং তার মেসো ও শ্বশুরের নামও তকাই, এবং সবশেষে তার শ্বশুরের নাম বিস্কুট - তখন বিরক্ত হয়ে কথক এই কথাগুলো বলেছিলেন। হিজিবিজবিজের পরস্পরবিরোধী এবং গাঁজাখুরি কথাগুলোর কোনোটিই তিনি বিশ্বাস করেননি।
6.  প্রশ্ন: "'বছর হলেই আমরা বয়স ঘুরিয়ে দিই'"— বক্তা কে? তাদের বয়স ঘুরিয়ে দেওয়ার নিয়মটি লেখো।
উত্তর: এই কথাটির বক্তা হলো গল্পের একটি কাক। কাকদের সমাজে বয়সের হিসাব অন্যরকম। তাদের বয়স ৪০ বছর পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবে বাড়ে। কিন্তু ৪০ বছর পূর্ণ হলেই তাদের বয়স উল্টো দিকে ঘুরতে শুরু করে। অর্থাৎ ৪১, ৪২ না হয়ে তাদের বয়স হয় ৩৯, ৩৮, ৩৭ এবং এভাবে কমতে থাকে। যখন বয়স ১০-এ পৌঁছায়, তখন আবার তা বাড়তে শুরু করে। এটাই হলো কাকদের বয়স ঘুরিয়ে দেওয়ার অদ্ভুত নিয়ম।
7.  প্রশ্ন: "'শ্রী ব্যাকরণ সিং, বি.এ. খাদ্যবিশারদ।'" – 'হ য ব র ল'-তে এভাবে কার পরিচয় দেওয়া হয়েছে ? এই নামকরণের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: 'হ য ব র ল' গল্পে এই পরিচয়টি দেওয়া হয়েছে একটি মস্ত দাড়িওয়ালা ছাগলের। যখন কথক এবং হিজিবিজবিজের মধ্যে তর্ক চলছিল, তখন এই ছাগলটি ঝোপের আড়াল থেকে উঁকি দিয়ে জানতে চায় যে তাদের কথা হচ্ছে কিনা। এই নামকরণের তাৎপর্য বেশ মজার। ছাগলটি চমৎকারভাবে 'ব্যা' ডাকতে পারে, আর 'ব্যা' শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ B.A. (যদিও এটি ব্যাচেলর অফ আর্টস-এর সংক্ষিপ্ত রূপ)। তাই তার নামের শেষে বি.এ. যোগ করা হয়েছে। এছাড়াও, ছাগলটি নিজে পরীক্ষা করে বলতে পারে কোন জিনিস খাওয়া যায় আর কোনটি খাওয়া যায় না। এই বিশেষ জ্ঞানের জন্য তাকে 'খাদ্যবিশারদ' উপাধি দেওয়া হয়েছে। 'ব্যাকরণ' নামটি সম্ভবত তার 'ব্যা' ডাকের চমৎকারিত্বের জন্যই রাখা হয়েছে, যা ভাষার ব্যাকরণের মতো সুশৃঙ্খল মনে হতে পারে।
আশা করি এই সম্পূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তরগুলি তোমাদের 'হ য ব র ল' গল্পের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের প্রস্তুতিতে সহায়ক হবে। শুভকামনা!

8.   প্রশ্ন: হিজিবিজবিজ কে ? তার একটি মজার গল্প নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তর: হিজিবিজবিজ হলো এক অদ্ভুত ধরণের প্রাণী, যার আকার-আকৃতি ঠিক বোঝা যায় না। সে নিজেকে বিভিন্ন নামে পরিচয় দেয়। হিজিবিজবিজের একটি মজার গল্প হলো - একবার সে নাকি দেখেছিল, আকাশ থেকে সব রং চুরি হয়ে গেছে। পৃথিবী হয়ে গেছে সাদা-কালো। তখন হিজিবিজবিজ তার লম্বা নাকের ডগায় একটা রংতুলি বেঁধে, মেঘের গায়ে আবার রং করতে শুরু করলো। প্রথমে সে সবুজ ঘাস আঁকলো, তারপর নীল আকাশ, আর শেষে লাল টুকটুকে ফুল। কিন্তু তার আঁকাগুলো সব কেমন যেন উল্টো পাল্টা হচ্ছিল। ঘাস যাচ্ছিল আকাশে, আকাশ নেমে আসছিল মাটিতে! তবুও হিজিবিজবিজ নাছোড়বান্দা, সে রং করেই যাচ্ছিল, আর সেই জন্যই পৃথিবীটা আজও এত রঙিন!

9.  প্রশ্ন: কাকের হিসাব করার পদ্ধতিটি কি তুমি সমর্থন করো? তোমার উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি দাও।
উত্তর: না, আমি কাকের হিসাব করার পদ্ধতিটি একেবারেই সমর্থন করি না। কারণ অঙ্কশাস্ত্রের কোনো নিয়ম বা যুক্তির সাথে তার হিসাব মেলানো সম্ভব নয়। বুড়োর টাকের উপর খড়ি দিয়ে এলোমেলো সংখ্যা লেখা এবং ভগ্নাংশ ও ত্রৈরাশিক পদ্ধতির ভুল প্রয়োগ কেবল হাস্যরস সৃষ্টি করে, কিন্তু তা কোনো সঠিক গণনা পদ্ধতি নয়।

10.  প্রশ্ন: গল্পের কোন অংশটি তোমার সবচেয়ে বেশি হাস্যকর লেগেছে এবং কেন ?
উত্তর: আমার সবচেয়ে বেশি হাস্যকর লেগেছে সেই অংশটি, যেখানে কাক শ্লেট ফেলে বুড়োর মাথায় মারে এবং বুড়ো ছোটো বাচ্চার মতো "ও মা— ও পিসি— ও শিবুদা" বলে কাঁদতে শুরু করে। কাকের গম্ভীরভাবে ভুলভাল হিসাব করা এবং তার পরেই এমন অপ্রত্যাশিত একটি ঘটনা, সাথে বুড়োর ছেলেমানুষী কান্না - সব মিলিয়ে দৃশ্যটি খুবই মজার।

11.  প্রশ্ন: এই গল্পটিকে অন্য কোনো নামে নামকরণ করলে তা কতটা উপযুক্ত হত বলে তুমি মনে করো?
উত্তর: এই গল্পটিকে অন্য কোনো নামে নামকরণ করলে এর মূল স্বাদ ও বৈশিষ্ট্য সম্ভবত হারিয়ে যেত। 'হ য ব র ল' নামটি নিজেই গল্পের এলোমেলো, অসংলগ্ন এবং মজাদার ভাবটিকে তুলে ধরে। অন্য কোনো সুনির্দিষ্ট বা অর্থপূর্ণ নাম দিলে গল্পের সেই বিশেষত্বটি আর থাকত না।
প্রশ্ন: সুকুমার রায় কেন এই ধরনের একটি অদ্ভুত গল্প লিখেছিলেন বলে তোমার ধারণা?
উত্তর: আমার ধারণা সুকুমার রায় এই ধরনের অদ্ভুত গল্প লিখেছিলেন মূলত শিশুদের মনে আনন্দ জাগানো এবং তাদের কল্পনাশক্তিকে উৎসাহিত করার জন্য। তিনি চেয়েছিলেন শিশুরা যেন গতানুগতিক চিন্তাভাবনার বাইরে গিয়েও মজা খুঁজে পায় এবং তাদের সৃজনশীল মন বিকশিত হয়। তাঁর লেখায় প্রায়শই যুক্তির অভাব দেখা যায়, যা শিশুদের এক ভিন্ন ধরনের আনন্দ দেয়।


Thank you 
Team BJU
🔖🔖 মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্নোত্তরক্লিক করুন

🔖🔖 মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর - ক্লিক করুন

🔖🔖 মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর - ক্লিক করুন

🔖🔖 মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্নোত্তর - ক্লিক করুন

🔖🔖 মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্নোত্তর - ক্লিক করুন

🔖🔖 মাধ্যমিক ইংলিশ প্রশ্নোত্তর - ক্লিক করুন

📌📌 বিভিন্ন পরীক্ষার Mock Test - ক্লিক করুন 

Ha ja ba ra la

Post a Comment

Search Your Questions

Powered By GoogleGoogle

Mock Test

Practice unlimited Mocks

MS

Maddhamik Solution

Knowledge Like Books

CBSE Notes

Educational platforms

Essay Writing

Credit Your Writing Skills

Letter Writing

Learn letter writing techniques

BW

Bengali Writing

Enhance Your Language Skills

PDF

ê - Books

Knowledge Investment

Web

New Job Updates

Shine like Jio Hotstar

Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.